অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি / সজেশন/ নম্বর বণ্ঠন
অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি / সজেশন/ নম্বর বণ্ঠন
সরকারি দপ্তরগুলোতে প্রতিনিয়ত অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক প্রদে নিয়োগের সার্কুলার প্রকাশ করা হয় যেখানে অন্য সকল পরীক্ষা বা সার্কুলারের জন্য বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয় আর এই পদ গুলোতে সারা বছরই নিয়োগ পরীক্ষা থাকে যার কারণে প্রস্তুতি দ্রুত ও সফলতার পার্সেন্টহার সব চেয়ে বেশি।
মূল বিষয় হল, এই পদে বাস্তব দক্ষতা না থাকার কারণে অনেকেই পরীক্ষার সকল ধাপ পার করলেও টাইপিং না জানার কারণে সবচেয়ে বেশি প্রার্থী ফেল করে আর এখানে সবয়ে বেশি নিয়োগ হয় ফেয়ারে কারণ অদক্ষ লোকের এখানে চাকরি করার সুযোগ নেই।
কম্পিউটার অপারেটর ও সাঁটমুদ্রাক্ষরিক পদে প্রায়ই জনবল নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। এসব পদের সংখ্যা তুলনামূলক বেশি। আগে থেকেই প্রস্তুতি থাকলে নিয়োগ পরীক্ষায় পাস করা সহজ হয়। বিস্তারিত জানাচ্ছেন এম এম মুজাহিদ উদ্দীন
নিয়োগ পরীক্ষা যেভাবে
অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর বা কম্পিউটার অপারেটর, সাঁটমুদ্রাক্ষরিক পদের নিয়োগে সাধারণত ৭০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে হয় তবে সকল মন্ত্রণালয় বা অধিদপ্তর সরাসরি লিখিত পরীক্ষা নাও নিতে পারে যদি প্রার্থীর সংখ্যা বেশি থাকে তবে প্রথমে প্রিলি তার পর লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়, আবার অনেক সময় দেখা যায় প্রার্থীর সংখ্যা বেশি থাকার কারণে সোজা প্রিলি পরীক্ষা নিয়ে প্রাকটিক্যাল পরীক্ষা নিয়ে চূড়ান্ত নিয়োগ পত্র দেওয়া হয়।
(লিখিত পরীক্ষায় যাঁরা পাস করেন, তাঁদের কম্পিউটারের ব্যাবহারিক দক্ষতা প্রমাণের জন্য ব্যাবহারিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। সাঁটমুদ্রাক্ষরিক পদের প্রার্থীদের একই সঙ্গে কম্পিউটার ও সাঁটলিপির ব্যাবহারিক পরীক্ষায় পাস করতে হয়)
এখন অনেকেই বলতে পারেন, কম্পপিটার পদের নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি তাহলে কোনটা নেওয়া ভাল হবে? লিখিত নাকি এমসিকিউ
বর্তমান সময়ে চাকরির প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকতে হলে আপনার চারদিগে ধার থাকা লাগবে তাই প্রথমে প্রিলির প্রস্তুতি নিবেন আর প্রিলির প্রস্তুতরি সাথে লিখিত পরীক্ষার প্রস্ততি ৮০% হয়ে যাবে তার জন্য আপনাকে বিগত সালের প্রশ্ন গুলো আগে সমাধান করতে হবে তাহলে এমনি বুঝবেন কোন ধরণের প্রস্তুতি আপনার নেওয়া দরকার।
নোটঃ প্রিলির প্রশ্ন গুলো এম ভাবে পেড়বেন সেই প্রশ্ন গুলোই লিখিত আকারে আসবে যাস্ট শূণ্যস্থান আকারে যার কারণে আপনার প্রস্তুতি ধারালো করার জন্য বিগত সালের কম্পিউটার আাপারেটর পদে যত প্রশ্ন আছে তা স্কিপ না করে নোট করে করে সমাধান করুন।
পড়া দ্রুত গুঁছিয়ে নেওয়ার জন্য প্রথমে বিগত সালের প্রশ্ন ভাল করে পড়ে তার পরে বিগত বিসিএস পরীক্ষার কম্পিউটার, সাধারন জ্ঞান, বাংলা, ইংলিশ, দৈনন্দির বিজ্ঞান পার্ট গুলো ভাল করে শেষ করতে পারলে আপনার প্রস্তুতি ৯০% শেষ।
১০০% চাকরির প্রস্ততি শেষ করতে আপনাকে ব্যাখ্যাসহ বিগত প্রশ্ন সমাধান করতে হবে আর বর্তমান সময়ে চাকরির প্রশ্ন গুলো ব্যাখ্যা থেকে বেশি করা হচ্ছে।
শিক্ষাগত যোগ্যতা
অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে আবেদনের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা সাধারণত ন্যূনতম উচ্চ মাধ্যমিক পাস হতে হয়, আবার সিনিয়র পদ গুলোতে অনার্স চায় তবে ৯৮% সার্কুলারে এইএসি চায়। এটা ৩য় শ্রেণির কর্মচারীর পদ।
এ ছাড়া প্রার্থীর টাইপিংয়ে প্রতি মিনিটে ২০ থেকে ৩০ শব্দ (বাংলা ও ইংরেজি) লেখার গতির পাশাপাশি কম্পিউটারের মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, মাইক্রোসফট এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট, ডাটা এন্ট্রি, ইন্টারনেট ব্রাউজিং ও ই-মেইলে কর্মদক্ষতা চাওয়া হতে পারে। ব্যাবহারিক পরীক্ষার সময় এগুলো যাচাই করা হয়।
পরীক্ষার প্রস্তুতি
অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর,
কম্পিউটার অপারেটর,
উচ্চমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদের পরীক্ষার প্রস্তুতি দুই ভাবে নেওয়া হতে পারে।
প্রথমত—লিখিত পরীক্ষার ৭০ নম্বরের প্রস্তুতির জন্য বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সাধারণ জ্ঞান, কম্পিউটারের তাত্ত্বিক বিষয় থেকে প্রস্তুতি নিতে হবে।
বাংলায় ২০,
ইংরেজিতে ১৫-২০,
ও সাধারণ জ্ঞানে ১০-১৫ নম্বর।
এসব বিষয়ে সাধারণত ১ নম্বরের এককথায় প্রশ্নোত্তরের প্রশ্ন থাকে। এ ছাড়া গণিতে তিন-চারটি প্রশ্ন এসে থাকে, যেগুলো সমাধান করে দেখাতে হয়, প্রতিটি অঙ্কের জন্য বরাদ্দ থাকে ৫ মার্কস। গণিতে মোট ১৫ থেকে ২০ মার্কস বরাদ্দ থাকে। এ ছাড়া মাঝেমধ্যে বাংলা অথবা ইংরেজিতে ভাবসম্প্রসারণ অথবা টীকা লিখতে আসে। যার জন্য ৫ নম্বর বরাদ্দ থাকে।
দ্বিতীয় ধাপে—ব্যাবহারিক পরীক্ষার জন্য কম্পিউটারের ব্যাবহারিক দক্ষতা অর্জন করতে হয়। আর সাঁটমুদ্রাক্ষরিক পদের জন্য সাঁটলিপি লেখা জানতে হয়। এই দুই ধরনের প্রস্তুতির কোনোটির ঘাটতি থাকলে চাকরি পাওয়া সম্ভব হয় না।
লিখিত পরীকক্ষার প্রস্তুতি
এসব পদের জন্য বিগত বছরের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করে সেগুলো বুঝে বুঝে সমাধান করতে হবে। মুখস্থ করার বিষয়গুলো মুখস্থ করে ফেলতে হবে। তারপর প্রশ্নগুলো দেখে দেখতে হবে পরীক্ষায় কোন ধরনের প্রশ্ন বেশি আসে এবং কোন টপিক থেকে প্রতিবছরই প্রশ্ন এসে থাকে। এগুলো বিশ্লেষণ করে খাতায় টপিকভিত্তিক গুরুত্বানুসারে সাজানো যেতে পারে। এভাবে নিজের সাজেশন নিজেই করে নিতে পারেন।
লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য অন্যান্য সরকারি চাকরি সহায়ক বইগুলো পড়লে যথেষ্ট। এ ক্ষেত্রে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদের জন্য বাজার থেকে আলাদা কোনো গাইড বই কেনার প্রয়োজন নেই। বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় আসা বিগত সালের প্রশ্নগুলো চর্চা করা যেতে পারে।
ইংরেজিতে প্রথমে বেসিক গ্রামার শিখতে হবে। তারপর গ্রামারের পাশাপাশি মেমোরাইজিং আইটেম তথা মুখস্থ বিষয়গুলোর ওপর জোর দেওয়া যেতে পারে। যেমন : Synonyms and Antonyms, Idioms and Phrases, one word substitution, spelling mistakes, Appropriate prepositions, Group verbs, Proverb প্রভৃতি।
গণিতের ভিত্তিও মজবুত করতে হবে। পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণির গণিত বইগুলো বুঝে বুঝে সমাধান করতে পারলে গণিতে ভালো করা যাবে।
বাংলায় ব্যাকরণ ও সাহিত্য থেকে প্রশ্ন এসে থাকে। ব্যাকরণ অংশের প্রস্তুতির জন্য নবম-দশম শ্রেণির বোর্ড ব্যাকরণ বই এবং সাহিত্য অংশের প্রস্তুতির জন্য বাজারের প্রচলিত ভালো মানের একটি গাইড বই-ই যথেষ্ট।
মাধ্যমিকের কম্পিউটার বই ও বাজারের প্রচলিত ভালো মানের একটি বই থেকে প্রস্তুতি নিলে কম্পিউটার ও তথ্য-প্রযুক্তির লিখিত পরীক্ষায় ভালো প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব।
বিসিএসসহ বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় আসা বিগত সালের প্রশ্নগুলো বেশি বেশি চর্চা করা যেতে পারে।
সাধারণ জ্ঞানের প্রস্তুতির জন্য অষ্টম শ্রেণি ও নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইটা নোট করে পড়া যেতে পারে।
এ ছাড়া নিয়মিত জাতীয় দৈনিক পত্রিকা পড়লে সাধারণ জ্ঞানের অনেক বিষয়ই সহজে আয়ত্তে চলে আসবে।
কম্পিউটারের ব্যাবহারিক দক্ষতা প্রস্তুতি
বাসায় কম্পিউটার থাকলে ব্যাবহারিক দক্ষতা ঘরে বসে নিজে থেকেই রপ্ত করা যায়। টাইপিংয়ে গতি বাড়ানোর জন্য নিয়মিত টাইপিং চর্চা করতে হবে। কি-বোর্ডের দুই হাতের আঙুল নিয়মমতো বসিয়ে কিভাবে বাংলা ও ইংরেজি টাইপিংয়ে দক্ষ হওয়া যায়, এমন অনেক টিউটরিয়াল অনলাইন বা ইউটিউবেই পাওয়া যাবে। এ ছাড়া বাংলা কি-বোর্ড লে-আউট বা কোন বাটন চাপলে বাংলা কোন অক্ষর আসবে, সেটাও মুখস্থ রাখতে হবে। মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, মাইক্রোসফট এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট ইত্যাদি শেখার জন্য ভিডিও ও পিডিএফ ফরম্যাটের বহু টিউটরিয়াল পাবেন অনলাইনে। চাইলে বইও কিনে নিতে পারেন। আপনার প্রতি মাসের আয়-ব্যয়ের হিসাবটা এক্সেলে রাখতে পারেন। এতে আয়-ব্যয়ের হিসাবটা রেকর্ড করা হয়ে যাবে, আর আপনার এক্সেলও শেখা হবে। বর্তমান বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্নাসে পড়ার সময় পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন দিতে হয়। কিন্তু আপনার ছাত্রজীবনে যদি এমনটা না হয়ে থাকে, তাহলে আপনি চাকরির প্রস্তুতির যেকোনো বিষয়ের নির্দিষ্ট টপিকের ওপর পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের স্লাইড তৈরি করতে পারেন। গুগলে সার্চ দিলেই ভালো মানের টিউটরিয়াল পেয়ে যাবেন।
সাঁটলিপির দক্ষতার প্রস্তুতি
সাঁটমুদ্রাক্ষরিক পদের জন্য সাঁটলিপি লেখা জানতে হবে। সাঁটলিপি জানা প্রার্থী কমই পাওয়া যায়। তাই আপনি সাঁটলিপি জানলে অন্যদের থেকে এগিয়ে থাকবেন। সাঁটলিপি শেখার জন্য বিভিন্ন কোচিং সেন্টার ও প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেখানে নির্দিষ্ট কোর্স ফির বিনিময়ে সাঁটলিপি শেখার সুযোগ রয়েছে।
এ ছাড়া পরিচিত কেউ সাঁটলিপি জানলে তাঁর কাছ থেকেও শিখতে পারেন। নিয়মিত সাঁটলিপি চর্চার ফলেই সাঁটলিপিতে দক্ষতা অর্জন সম্ভব।
আরো বিস্তারিত জানার জন্য আমাদের ইউটিউব চ্যানেল job helpline bd ফলো করতে পারেন।
আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
tnx for commet..